শব্দহীন দিন
মাফরুহা মৌসুমী
কি নামে ডাকি তোমায়?
মহীয়সী নারী?
মমতাময়ী নাকী মানবিকতা?
কোন গুণে ভারী?
নীতি, নৈতিকতা নাকি
মূল্যবোধের কথা?
সকল বিশেষণে করা
বিশেষায়িত বৃথা।
তুমি এক অন্যন্যা নারী
দেশের গৌরব,
জীবনদিলেও মরেনা ফুটায়
বেহেশতি সৌরভ।
মাহিরিন চৌধুরী প্রমাণ করলে
কেমন করে হায়!
নিজের জীবন দিয়ে দূর
ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে হয়!
২০টি বাচ্চা বাচাতে গিয়ে
জীবনদিলে যেভাবে
সকলে ভুলে গেলেও প্রতিদান
আল্লাহর রয়েযাবে।
তুমি মা শিক্ষক বলেই
এমন দিন দেখেছি!
অনেকবারই মা,শিক্ষকদের
ভক্ষক বলেই জেনেছি।
পাইলট তৌকির সাহেব
শিক্ষক তো নয়,
জীবনদিতে তিনিও তো
করেন নি ভয়।
পূরণ করেছেন কতকষ্ট করে
বাবা-মায়ের স্বপ্ন।।
শেষযাত্রায় টিকলো না
বাবা- মায়ের রত্ন।
নতুন জীবনের স্বপ্ন আর
শখেরনারীর মায়া,
সবকিছুই পিছনে রাখলো যেন
বিবেব নাযায় খোয়া।
হাজার শিশু বাঁচানোর চেষ্টা
যদি না করতে
বেঁচে থেকে আয়নার সামনে
কেমনে মুখ লুকাতে?
মরে গিয়ে ভালোই করেছো
হে সাহসী বীরপুরুষ!
শিশু সন্তানদের আহাজারিতে
বাবা-মায়েরা আজবেহুশ।
ফুলেরমতো শিশুরা যেন
বেহেশতেনসিব হয়,
বেঁচেথেকেও মৃত্যুযন্ত্রনাতে যারা
রহম করো দয়াময়।
বাবা-মায়ের ধৈর্যদাও
সহজ জীবনযাপন করতে,
আর যেনো নাহয় কভু মোদের
এমন দিন দেখতে।