জীবন যুদ্ধ,
কারিমা খাঁন দুলারী,
খুলনা জেলা ফুলতলা।
বাবার জীবন বড় কষ্টের, গাঁয়ে ঝরে রক্ত হয়ে ঘাম
আমরা সন্তান বড় হয়ে,এই বাবা কে দিনা কোনো দাম।
এই ক্লান্তি হীন জীবনের সংগ্রামে,বাবার মনে বড় কষ্ট
সকল দায়িত্ব ঘাড়ে তাহার,চেষ্টায় মন কে করে নষ্ট।
স্বপ্ন বুকে এই সন্তানদের করতে হবে মানুষের মত মানুষ
এই সন্তান বড় হয়ে ভুলে যায় হয়ে নির্দয় নিষ্ঠুর ফানুস।
অবসর জীবনে নিঃস্ব হয়ে ঐ পথের দিকে চেয়ে কাঁদে
তাঁর ঘরে নেই রান্নার কিছু, বুড়ী মা নয়ন জলে কি রাঁধে।
বুক ভরা আশা নিয়ে এই সন্তান কে করায় লেখা পড়া
আজ বৃদ্ধ বয়সে নিরাশ বাবা মা হতাশার কষ্টে দিন গড়া।
মোর এই খোকাদের ছোট্ট বেলার আছে কত ইতিহাস
আজ বেঁচে আছি খুব আঘাতে নিথর দেহের মত হয়ে লাশ।
ঠেলাগাড়ি ও বিভিন্ন কাজে এই হাত দুটি পড়েছে ঠোলা
ঐ সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে করেনি কখনও জ্বালা।
এখন স্নেহ মায়া মমতা দয়া নেই এই সমাজের মানুষের মনে
অজস্র যন্ত্রনায় ভেঙ্গে পরি মোরা নেই অনুশোচনা জীবনে।
বাবা মায়ের শেষ জীবনে এই সন্তান একমাত্র সম্বল
মায়ের মন কেঁদে বলে, তোমার ছেলে দেখতে তোমার মত অবিকল।
নিত্য দিন তীব্র গরম শীতে কষ্টে এনেছে খাওয়ার দানা
আজ জীবনের আলো নিভে গেছে ঐ সন্তানের নেই জানা।
এই ভালবাসার বাঁধন ছিঁড়ে গেছে মোদের নিঃস্ব করে
মনে হয় মরে বেঁচে আছি মোরা অন্ধকার এই গোড়ে।
পথের দিকে চেয়ে জ্যোতি নষ্ট ঐ বুঝি খোকা মোর আসে
মৃত্যুর খবর শুনে এলে কি করে বুঝবে নিথর এই লাশে।