হাসনা হেনা’র সুবাস খুঁজি।
রকিবুল ইসলাম।
২২.০৪.২৫।
এই রহস্য ঘেরা অপরূপ রূপময়তায় মোড়ানো রঙিন পৃথিবী,
এই ধরিত্রীর প্রখর দীপ্তিময় দিবার অকৃত্রিম হাসি।
রজনীর পিন পতন নীরবতা,তমসাচ্ছন্ন নিশীথের গোঙানি,
আমারে নিয়ে সতত থাকে ঘিরি।
কভু খেলা করে তেজস্বী রবির দীপ্তি,
কখনো মেঘে ঢাকে তার রশ্মি।
কভু নিশীথে উঁকি দেয় চন্দ্রমুখী,
কখনো তার আলো অমাবস্যায় যায় ঢাকি।
কাঁটে যখন ভবে বিনিদ্র রজনী,
ঊষা আসে সোনার রথে চড়ি।
যবে ধরায় জরা আসে ফিরি,
রবি কিরণ তখন দেয় উঁকি।
রাঙা ঠোঁট,নীল শাড়িতে নীলাঞ্জনা তুমি,
মাদকীয় কলায় নাও মোর হৃদয় খানি হরি।
দহিত মনন,ক্ষরিত-ক্ষয়িঞ্চু মানসে আমি,
বড্ড অনাদরে যাই জীবন সংসার ভুলি।
গোলাপ,বকুল,রজনীগন্ধা,শিউলি,জবা রাখি,
চারিদিকে শুধুই “হাসনা হেনা’র” সুবাস খুঁজি।
জীবনের আদ্যোপান্ত!
রকিবুল ইসলাম।
২১.০৪.২৫।
জীবন!সে তো অচেনা এক মনের গলি!
কভু আলোকে ভাস্বর,
কভু তা আবার আঁধারে নিমজ্জিত কোন বিরাণ ভূমি।
কখনো পুষ্পময় উদ্যান,
কখনো বা আবার শুনশান মহা শ্মশানের ভুতুড়ে ঘাটি!
কখনো আশার ভেলা,
আবার কখনো সে বালুচরে বেষ্টিত নিরাশা।
বুঝিনি কভু জীবনের মানে কি তা!
করিনি কখনো পাঠ জীবন খাতার ছিন্ন পাতায় কি লেখা!
জীবনের ক্যানভাসে কখনো দৃশ্যমান হয় দেদীপ্যমান প্রখর আলোর সুদীপ্ত ঝলমলে আলোর রেখা,
আবার আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে রাঙানোর বদলে অমাবস্যার কালো রঙে ঢেকে যায় কখনো তার সকল আভা।
কখনো সে সুখের নিশাণ,
কখনো বা দু:খের গোলক।
কখনো সে হর্ষের ঝিলিক,
কখনো আবার সে বিষাদ সিন্ধুর প্রতীক!
কখনো সে তুমিময় সারাক্ষণ আমার সারাবেলা!
কখনো আবার সে তুমিহীনা বিভীষিকাময় আমার দু:খের দরিয়া।
তোমার-আমার সালতামামি।
রকিবুল ইসলাম।
২০.০৪.২৫।
বাতাসে ভাসিয়া আসিল একটা খবর,
গুণগুণ করিয়া কে যেন কহিতেছে,নতুন সাথী খুঁজিতেছ তুমি।
অদম্য মনোবলে তব বোধকরি চিড় ধরিয়াছে!
তোমার জন্য অপেক্ষমান শেষ ট্রেনটিও কি তোমারে ছাড়িয়া গিয়াছে?
তবে তো,তোমার ভেলায় চড়িতে চাওয়া শত শত যাত্রী ও আজ আর নাহি সেথা নিবাস তোমার যেথা।
তোমার চারিধারে জনকীর্ণ শোরগোল,শত-সহস্র কলরবের আওয়াজও বোধকরি এখন আর নাহি।
মনে হইতেছে, আজ তুমি একা,বড় একা!
ক্লান্ত-শ্রান্ত,অসহায়,জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিক,ঠিক আমার মত।
তোমার পরাজয়ে আজ আমার খুশি হইবার কথা ঢের।
কারণটা তোমারই সবচাইতে বেশি ভাল জানা।
কিন্তু, তুমি যে আমার,একান্তই আমার!
জন্ম জন্মান্তরের স্বপ্ন-সারথী যে তোমারে ভাবিয়া কাঁটিয়া যায় আমার নিশিদিন,সেই তোমারে পরাজিত হইতে দেখিয়া কিভাবে সুখী হই বলতো?
যে তুমি মজা পাইতে পুড়াইয়া আমায়,আমিও মজা পাইতাম পুড়িয়া তোমার অনলে।
চুলে কি পাক ধরিয়াছে তোমার? ক্ষতি কি তবে? আমিত তোমার বাহ্যিক সৌন্দর্য্য বা বয়স দেখিয়া ভালোবাসি নাই কভু,বাসিয়াছি তব অন্তরকে।
যদি কভু তোমার ইচ্ছার পাখিরা ডানা মেলিয়া উড়িতে চাহে ওই নীল গগণ পানে,তবে, কহি তোমারে সখি। আসিও তুমি,আমি আগের ঠিকানায়ই আছি।
পড়িয়াছি তোমার প্রেমের অনন্ত মায়ায়,
যে মায়ায় জড়াইয়া সকল কিছু হারাইয়া নিঃস্ব-রিক্ত অসহায় আজ আমি।
তাই তো আজ উদাত্ত আহ্বান জানাই আমার মহারাণীকে-
সময় পাইলে সকল অহং,সকল ভেদাভেদ ভুলিয়া
একবার আসিও,আসিও আমার হৃদপল্লীর হৃদঙ্গণে।
সাজাইয়া রাখিয়াছি সকল কিছু ঠিক তোমার মত করিয়া অতীব যতনে সুনিপুণ দক্ষতায়।
যদিও কিছু অপূর্ণতা থাকিয়া যায়,পরিপূর্ণ হইবে তোমার পরশে তাহা কানায় কানায়।
শঙ্খচিল শালিকের বেশে।
রকিবুল ইসলাম।
তারিখ:১৯.০৪.২৫।
এসেছিনু একা ভবে
কারো আপন হতে,
হৃদয় হাঁটের মাঝে।
ভবের প্রেমে মেতে
হয়নি মাতোয়ারা সে,
কভু মোর তরে।
থাকেনি সে কোনমতে
আমিই শুধু মোহিতে,
রইলাম তার মায়াতে।
ছিল যা কিঞ্চিতে
কারণে বা অকারণে,
স্বীয় স্বার্থ সিদ্ধিতে।
সব ব্যর্থতা মেনে
নিয়েছি বরণ করে,
পরাজয়ের তিক্ত গ্লানিকে।
আশা ছিল বেঁচে
পাব কোন ক্ষণে,
তোমারে আপন করে।
হলোনা স্বপ্ন পূরণ মোর আর এই ধরাতে,
একলা যাপিব জীবন শঙ্খচিল শালিকের বেশে।
স্বপ্নলোকের মাঝে।
রকিবুল ইসলাম।
১৮.০৪.২৫।
বাসনা ছিল মম মানস কোটরে রাখব সাজিয়ে,
পুতুল বেশে তোরে মোর মনের মত করে।
ইচ্ছা মতো আত্মার খেয়ালে অহর্নিশি ছোব তোরে ।
হয়নি পূরণ সে আশা মোর,গিয়েছ চলে,
আমার আঙিনা ছেড়ে যোজন যোজন দূরে,বহুদূরে।
শোননি তুমি কোন আকুতি,মানোনি মোর মিনতিকে।
আরজি জানিয়েছি রবিকে,তোমারে ছুঁয়ে আমায় ছুঁতে।
পারেনি সে কোনমতে,রেখেছে মোরে ভগ্ন মনোরথে।
আবেদন করেছি আকাশের কাছে,তার হৃদয় মাঝে,
রাখে যেন,আশ্রয় দেয় তার বক্ষ গহ্বরে।
ব্যর্থ সেও,পারেনি করতে পূরণ মোর আকাঙ্ক্ষাকে।
সুধিয়েছি বনের পাখিকে,তারে ছুঁয়ে আমারে ছুঁতে।
পাখি জানিয়েছে,বসে সে সতত ফুলে ফুলে।
এবারও হলো না পূরণ মোর স্বপ্ন ভবে।
মাঁকড়সা জানালো,থামিওনা তুমি,চেষ্টা কর নিরলসভাবে।
বাতাস কহিল,আছে সে মোর দু:খ নিরসনে।
যাবে সে শূণ্যে ভেসে তারে ছোঁয়ার তরে।
অত:পর,মেঘের ভেলায় ভেসে আসবে আমার কাছে।
মোর অঙ্গে সে মিশবে অতীব মধুর আবেশে,
না ধরে তারে ধরব আমি স্বপ্নলোকের মাঝে।
পথ ভোলা সুখের অপেক্ষায়।
রকিবুল ইসলাম।
১৭.০৪.২৫।
পারিনি মম বাঁধিয়া রাখিতে,
তাহারে মোর হিয়াতে।
চলিয়া গিয়াছে,হারাইয়াছে যে জন (অবজ্ঞাভরে),
ফেলিয়া মোরে দূর অজানাতে।
পারিব কিসে?যদি সে না মানে
কোন হৃদয়ের টান।
বুঝিবে না সে,
রাখিবে না কোন ভালবাসার মান।
নয়ন ভরা যাহার সুখস্বপ্ন,
সে কেমনে শৃঙ্খলিত থাকিবে,
পশ্চাতে ফেলিয়া আসা দুঃসহ স্মৃতিতে স্বীয় সত্ত্বাকে আঁকড়াইয়া।
মিছিমিছি শুধু, অলীক স্বপ্নকে
বাস্তবে পরিণত করিবার প্রয়াসে,
বাঁচিয়া রহিলাম আমি একা একা।
যদি কভু সে না আসে ফিরে আর মোর হৃদয়ে,
কাঁটাইয়া দিব দিন-ক্ষণ মানসপটে মম তাহার ছবি আঁকিতে আঁকিতে।
তবে,তবুও, মোর চিত্ত করিয়াছে এই পণ,
আজীবন আমি রহিব,
পথভোলা সে সুখের জন্য
অধীর আগ্রহে অপেক্ষামান।
ভালবাসা মানে,,
রকিবুল ইসলাম।
১৬.০৪.২৫।
ভালবাসা মানে তোমার নয়নে রঙিন স্বপন,
আমার নেত্রে দুঃস্বপন।
ভালবাসা মানে তোমার মস্তকে পরিপাটি কেশ,
আমার এলো কেশ।
ভালবাসা মানে তোমার ললাটে লাল টিপ,
আমার কপালে দুঃখের ঢিপ।
ভালবাসা মানে তোমার ঠোঁটের রাঙা হাসি,
আমার প্রাণহরা রাশি।
ভালবাসা মানে তোমার বিজয়ের উন্মাদনা,
আমার পরাজয়ের বেদনা।
ভালবাসা মানে শুধুই ভালবাসাবাসিতে
তোমার হারিয়ে যাওয়া,আমার হেরে যাওয়া।
ভালবাসা মানে আমি হীন তুমি আছ বেশ,
আমার জীবনের শেষ।
ভালবাসা মানে হিয়ার হরষে তোমার হারিয়ে যাওয়া,
আমার আকাশে বিষাদের কালো ছায়া।
ভালবাসা মানে বিজয়ীনি তুমি,পরাজিত আমি,
সবই আজ মিছে মায়া।
ভালবাসা মানে
পারিনি প্রিয়জন হতে।
রকিবুল ইসলাম।
১৫.০৪.২৫।
পছন্দ করনা আর মোরে,
গিয়েছি জেনে তা নিদারুণ ভাবে।
অপছন্দ তোমার যাকে,
তাচ্ছিল্যের অধিকার তারে
কে দিয়েছে তোমারে?
যদিও ভাবনাগুলো দানা বাঁধে
একান্তই তোমাতে।
দুঃখিত!আমি অপারগ বলে!
দুঃখিত!তুমি বোঝনি বলে!
তোমার প্রয়োজন সেই প্রিয়জনকে!
থাকবে সতত অবিরাম,
অহর্নিশি তোমার পাশে যে।
করিও ক্ষমা মোর অক্ষমতাকে,
করিও ক্ষমা মোর দুর্বলতাকে।
তোমার নেশায় বুঁদ স্বার্থপর আমি
রয়েছি পড়ে সতত তব দুয়ারে।
বেশি প্রাধান্য আমার থেকে
দিয়ে রেখেছি যে তোমাকে,
পারলাম না আমি অবশেষে
প্রয়োজনে তার প্রিয়জন হতে!
বাঁচার পণ।
রকিবুল ইসলাম।
১৪.০৪.২৫।
নতুন বছর এলো ভবে,
সুখের বারতা নিয়ে।
দু:খ,জরা ভুলে গিয়ে,
সুখকে আনবে বয়ে।
গেল বছর খরার মাঝে
জীবন গেছে কেঁটে।
নব স্বপনের জাল বুনে
রেখেছি অক্ষি মাঝে।
আহাজারি শুনব না বাহে,
ভাসব খুশির জোয়ারে।
করি পণ সুখে-দু:খে,
বাঁচব মিলে মিশে।
মায়ের প্রার্থনা।
রকিবুল ইসলাম।
১৩.০৪.২৫।
ঐ যে দেখা যায় চাঁদ মামা!
বিকিরণ করে সদা
নীলাভ 🌒 আলোর রেখা।
চাঁদ হাসে!তারা হাসে!
রজনী হাসে সাথে সাথে।
তার সেই হাসির সমারোহে,
ধরার মাঝে পুষ্প ফোঁটে।
মাগো যখন ললাট কোণে,
নীল চাঁদোয়ার ছবি আঁকে।
কাজল অঙ্কিত কপাল দেশে,
আলোর ফোঁয়ারা যায় ছড়িয়ে।
মেঘে☁️ যখন ঢাকে যে চাঁদ,
সকল আলোর হয় রে নাশ।
আঁধার বেষ্টিত ধুম্রজালের ধরা,
হটাবে খোকা সকল জরা।
আজ তুমি শিশু,কাল হবে বড়।
আত্মার শান্তিতে অ’সুখ সব হবে সঢ়।
তোমার ঠোঁটের হাসির দীপ্তিতে,
কালোছায়া সব পালিয়ে যাবে।
সেই প্রার্থনায় মা জননী,
ব্যস্ত থাকেন দিবস রজনী।
পথের পাঁচালী।
রকিবুল ইসলাম।
১২.০৪.২৫।
হয়ত অধরা রবে স্বপ্নরা আমার,
একান্ত একা দর্শেছিনু যা।
অজানা উৎকণ্ঠা,অচেনা ব্যথারা
সতত করে যায় উপহাস,
উপহার দিয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস।
কান্নারা গুমড়ে মরে,
কষ্টরা করে হাঁসফাঁস।
তানপুরা’টা তোলেনা সুর,
ছিঁড়ে গেছে তার।
যে তুমি সতত করতে বিচরণ
হৃদ মাঝারে মম নিরবে,
সেই তুমি আজ আন্দোলিত কর
অন্য মানস গভীরে।
বাজাও স্বর্গ সুর অমোঘ মনোরঞ্জনে।
আর আমি?না ই বা ভাবলে সে কথা,
রইলাম পড়ে অনাদরে,অবহেলে।
আমি না হয় থাকব তব আকাঙ্খিত
স্বর্গ সুখের উল্লাসে মেতে,
সেই গান হয়েই রইলাম
“পথের পাঁচালী!” হয়ে!
পথে প্রান্তরে যা বাজে!
মন্দ বাসা।
রকিবুল ইসলাম।
১১.০৪.২৫।
আমি বার বার ভালবাসি,তবু ভালবাসি সেই ভালবাসাকে, (পড়ুন মন্দবাসাকে)।
যার জন্য আমার নয়ন হতে অবিরাম অশ্রু বর্ষিত হয়।
আমি বার বার জড়াই, শুধু জড়িয়ে যাই সেই মায়ায়,
কোন বাঁধনে বাঁধা না গেলেও যে মায়া আমার হৃদয় গহীনে আন্দোলিত হয়ে চলে অহর্নিশি সদা সহসাই।
আমি তবু বারবার ধরতে চাই সেই ছায়াকে,
যে ছায়া শুধুই অধরা কায়া,অলীক,মিছে মায়া হয়ে রয়।
আমি শুধু আমার মানস পটের ক্যানভাসে সেই মুখাবয়ব আঁকতে চাই,
যার কাঁটার আঘাতে আমার হৃদযন্ত্র সতত ক্ষত-বিক্ষত হয়।
আমি তবু শুধু সেই চেনা মুখ দেখতে চাই,
যার দর্শনের প্রতিক্রিয়ায় প্রতীক্ষায় থাকে সদা অন্ধ হওয়ার ভয়।
আমি শুধু সেই ফুলের সুবাস নিতে চাই,
যে ফুলে আছে কাঁটা, পরিপ্রেক্ষিতে শুধুই ব্যথা দিয়ে যায়।
আমি তবু তার স্মৃতির সেই অভিধান হতে চাই,
অযত্ন আর অবহেলায় ধুলো পড়ে যা ধূসর,ম্রিয়মাণ হয়ে যায়,অত:পর যা আমার অক্ষি বিসর্জিত অশ্রু প্রবাহে বিধৌত হয়ে আবার সুপাঠেয় হয়।
আমি বার বার প্রেমে পড়ি,বার বার মজি সেই প্রেমে,
যে প্রেমে সহসা হয় না মিলন,যা শুধু বিরহের গীত হয়ে রয়।
আমি শুধু হেরে যাই সেই অবজ্ঞার কাছে,
তাচ্ছিল্যের সুরে বেজে চলে যা আমার কর্ণমূলে।
আমি তবু ভালবাসি,বার বার ভালবাসি সেই ভালবাসাকে,
ব্যথার কারণ হয়ে যে শুধু আমার অন্তরাত্মায় মিশে মন্দবাসা হয়ে রয়।
প্রেমের অনটনে।
রকিবুল ইসলাম।
১০.০৪.২৫।
সারাদিন শুধু তোমায় ভেবে!
বেলা যায় মোর কেঁটে।
যদিও তুমি হেয়ালি হয়ে,
করে যাও হেলা মোরে।
সারাদিন শুধু তোমায় ভেবে!
আঁকি তব মম মানসপটে।
যদিও তুমি বড্ড বেখেয়ালে,
রেখে যাও মোরে অনাদরে।
সারাদিন শুধু তোমায় ভেবে!
যাপি দিন কবিতা রচে।
তব অবহেলা,তব তাচ্ছিল্ল্যে,
বেকার আজ সবই বটে।
সারাদিন শুধু তোমায় ভেবে!
মন বসে না কাজে।
একলা আমার উদাস মনে,
সারা বেলা যায় কেঁটে।
সারাদিন শুধু তোমায় ভেবে!
দিন যেত মোর হেসে,
ভাবিনি তা যাবে কেঁদে,
আমাতে তব “প্রেমের অনটনে!”