শিরোনাম : ভাটফুল
কবি: দীপিকা হালদার
অনাদরে অবহেলায় চৈত্রমাসে
কতো ভাট ফুল ফোটে,
কেউ কেউ মুগ্ধ হয়
কিছু অলি ও ছোটে।
বনে বনে ফোটে তাই
জংলী ফুল ও বলি
থোকা ধরে একসাথে থাকে
কতো ফুল আর কলি।
আবর্জনা ভেবে আগুন দিয়ে
পোড়ায় কতোজন,
রূপলাবন্যে যদিও ভোলায়
ফুল আমাদেরই মন।
ভাট ফুলের শুনেছি কিছু
ঔষধি গুণও আছে,
গুণীজন কদর করে আবার
নজরে রাখে কাছে।
ফুল ফুটলে আনন্দ দেয়
ভরে থাকে মন,
বাড়ি থাকে আনন্দিত আর
খুশি ভরায় গৃহকোণ।
শিরোনাম : বিবাগী এ-মন
কবি : দীপিকা হালদার
তাং -০৬-০৩-২৫
কুহু-উ কুউহু কুউহু করে
কোকিল যখন গায়,
বিবাগী এ-মন আমার
তখন তোমায় চায়…!
অলস রোদ যখন পরে
আমার বারান্দার ছায় ,
বিবাগী এ-মন আমার কেবল
তোমায় খুঁজে যায়…।
কিছু স্বপ্ন, কিছু আশায়
অদৃশ্য পিছুটানে মরি,
মন আকাশে কেবল উড়াই,
নানা রঙের ঘুড়ি.…।
বয়সের কথা ভুলে গিয়ে
চলো কিছুটা ছুটি ,
হারিয়ে গেছে যেদিন আমার
সকল বাঁধন টুটি…।
নিখোঁজ হলো সুখের সে’দিন,
হাজারো স্বপ্নের ভীড়ে,
ফিরবে কি সু’দিন আমার
এই সুখবসন্ত নীড়ে …?
রঙিন ঘুড়ি উড়ে গেলো,
রঙিন সুতো ছিঁড়ে,
চলো আবার নাও ভিড়াই
স্বপ্ন নদীর তীরে … !
শিরোনাম : বিবাহ পর্ব
কলমে : দীপিকা হালদার
বিবাহ পর্ব দেখে লোকে
খুশি মনে যায়,
আমার ভারী কষ্ট হয়
ভীষণ কান্না পায় ।
আদরে যতনে লালিত কন্যা
বিদায় দিতে হয়,
অপরের বাড়ি গিয়ে জানি
কিছু নিজমতে নয় ..।
খাওয়া ঘুম থেকে শুরু
সব কিছু ব্যতীক্রম,
পদে পদে প্রমান করে
মেয়ের আছে মতিভ্রম।
আদর দিয়ে বাদর করা
বাপ মায়ের শিক্ষা,
শত শিক্ষিত মেয়ে হলেও
ভিন্ন শ্বশুরবাড়ির দীক্ষা।
সদা থাকে ভয়ে ভয়ে
এই বুঝি ভুল হয়,
কিছুতেই শ্বশুরবাড়ির কাছে
যেনো মনের মতো নয়।
মেয়ের বিয়ে দিতেই হয়
শত না চাইলেও মন,
সম্প্রদানে বুক ভেঙ্গে যায়
নাড়ি ছেঁড়া ধন… ।