আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ মহান
——————
একজন খায়রুল আনাম
মহসিন আলম মুহিন
(২৩/১২/২০২২ ইং-স্নেহের খায়রুল আনাম শেখের অকাল মৃত্যুতে তার আত্মার শান্তি কামনা ও স্মৃতি চারণে)-
একদা মায়ের কোলজুড়ে এসেছিলো এক সন্তান,
কেউ কি জানতো একদিন সে হবে-সমাজের আইকন।।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে বড় হয় আদরের ছোট ছেলে,
বন্ধুদের সাথে সুন্দর মিশে পড়ালেখা হেসে খেলে।।
মাধ্যমিক-এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা,
আরও কমার্স কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজে জ্ঞানের প্রদীপ দেখা।।
ঊনিশ চুরানব্বই এস.এস.সি ব্যাচ সবার প্রিয় মুখ,
ছাত্র, শিক্ষক, এলাকার মানুষ তাকে পেলে পায় সুখ।।
সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখখানি তার সর্বদা বিনয়ী আচরণ,
বোনের বিয়োগে-“মুসফিকা স্মৃতি”-পাঠাগারের করেন পত্তন।।
জন্মে ছিলেন সিরাজগঞ্জে, সে যে কৃতি সন্তান জেলার,
চিন্তাই ছিলো দেশ, জাতি, মানুষ ও সুন্দর সমাজ গড়ার।।
এলাকার যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানী গুণী যারা আছে,
সকলকে আনেন একই মঞ্চে তার প্রতিভার ধাঁচে।।
দেশ, বিদেশ, ঢাকা থেকেও আনেন অনেক জ্ঞানী,
শিক্ষাগুরু, মুক্তিযোদ্ধা, ভাইসচ্যান্সেলর, ডক্টর, জ্যোতির্বিজ্ঞানী সহ কামাল লোহানীর মত গুণী।।
সুশিক্ষা, শুদ্ধ বানান, সাহিত্য চর্চা, গণিত অলিম্পিয়াড,
বই প্রকাশ, বই মেলা, জ্ঞানী গুণীদেরকে নিয়ে গড়ে তোলেন এক স্কোয়াড।।
চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ডাল-ভাত, ট্যালেন্ট বাছাই, আবৃত্তির আয়োজন,
সবই আজ আছে, থাকবে আগামী, নেই শুধু “আনাম” মহাজন।
সাহিত্যের পাশাপাশি সমাজ সংস্কারক, রুগী, করোনায় সেবা দান,
হৃদয়ে স্বপ্ন সুন্দর করে সাজাবে, গ্রামের কবরস্থান।।
কবরস্থানে মসজিদ হবে, ঈদগাহ মাঠ, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, সব স্বপ্ন এত দ্রুত শেষ! সমাপ্তি সব আশা।।
কাঁদে আফিফা, আরিবা, নোমান; কাঁদে সহধর্মিণী, কাঁদে পাঠাগার, স্বজন সুহৃদ, মমতাময়ী জননী।।
কাঁদে কবি মন, কাঁদে গুরুজন, কাঁদে ভাই বোন যত,
কত স্মৃতি তার, নহে ভুলিবার, মনে পড়ে অবিরত।।
দরদীরা খোঁজ রেখো সদা পাঠাগার সহ আনাম পরিবারের,
সে চলে গেছে, স্মৃতি রেখে আজ বাসিন্দা যে কবরের।।
তার জীবনের যদি থাকে ‘ভুল ক্ষমা করে দিও তারে,
মনে করে তার কর্ম জীবন-দোয়া করো প্রাণ ভরে।।
প্রার্থনা করি, মহান প্রভু সব ভালো করুক দান,
করুন তাকে, জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান।।
রচনাকালঃ-২৫/১২/২০২২ ইংরেজি
মহসিন আলম মুহিন
খামার গ্রাম কলেজ পাড়া, থানাঃ-এনায়েতপুর উপজেলাঃ-চৌহালী জেলাঃ-সিরাজগঞ্জ বিভাগঃ-রাজশাহী দেশঃ-বাংলাদেশ