শিরোনাম :– “বৃদ্ধাশ্রম”
মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ( মিয়া ভাই)
তারিখ ২৬ ০৬ ২০২৫
তোমাকে করতে লালন-পালন,
নিজেদের সব কিছু দিয়েছি বিসর্জন।
প্রতিদান পেয়েছি বৃদ্ধাশ্রম।
এই ছিল শেষ বয়সের অর্জন।
ভিজে যাওয়া জায়গা নিজে শুয়ে,
তোমাকে রেখেছি শুকনায়।
আশঙ্কায় ছিলাম আহা বাচা আমার,
না জানি ঠান্ডা লেগে যায়।
ছোট বেলায় যখন চোখের,
একটু আড়াল হতে তুমি।
তখন তোমাকে পাগলের মত,
খুঁজে বেড়াতাম আমি।
নিজে না খেয়ে তোমার,
মুখে তুলে দিয়েছি অন্ন।
অর্থাভাবে পরনের কাপড়গুলি,
ছিলো শত জায়গায় ছিন্নভিন্ন।
ছিঁড়ে যাওয়া কাপড়গুলি জোড়াতালি,
দিয়ে কোন রকমে সেলাই করি পরি।
ঋণ করে তোর জন্য নতুন জামা কিনি,
পড়ালেখার খরচ দেই জমি বিক্রি করি।
নিজে না খেয়ে উপবাস থেকে,
নিজহাতে খাইয়েছি তোমায়।
বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গিয়ে তুমি,
প্রতিদান দিয়েছো আমায়।
অসুখে বিসুখে তুমি যখন,
বিছানায় থাকতে শুয়ে।
নির্ঘুম রাত পোহাতাম আমরা,
তোমার শিয়রে পাশে বসে ।
কত কি,অশনি সংকেত।
মনের মাঝে জাগতো।
দুশ্চিন্তা, ভয়ে বুকের মাঝে,
কেঁপে কেঁপে উঠতো।
শোনরে নিষ্ঠুর খোকা দুঃখের কথা বলি।
কত সুন্দর ছিল আমাদের সুখের দিনগুলি।
তোর আদৌ আদৌ বুলি মিষ্টি সোনা মুখ।
কুঁড়েঘরে মায়া মমতায় এনেছিল স্বর্গসুখ।
আমাদের কি অপরাধ ছিল,
আমাদেরকে কেন রেখেছো নির্বাসনে।
আমাদের কি,হইলো না একটু জায়গা।
তোমার বিশাল অট্টালিকার কোণে।
অতীতের কথাগুলি হয়ে স্মৃতিগাঁথা।
কষ্ট হয়ে স্মৃতিপটে দেয় শুধু ব্যথা।
আমায় রেখে গেছো নির্বাসনে ,
অজানা অচেনা পরিবেশে।
তুমি থাকো বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে,
খুব আরাম আয়েশে।
ওরে ও নিষ্ঠুর নির্দয় খোকা,
তোর কি হয় না দয়া মনে।
আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি,
কারো স্থান,না হয় যেন বৃদ্ধাশ্রমে।
পরিশেষে আল্লাহর কাছে করি এই মিনতি,
তোর জীবনে না হয় যেন এমন পরিণতি।।