শিরোনাম :” নৈশকালীন বসন্তের দৃশ্য”
লেখক : ড. হিমাংশু কুমার বৈদ্য (কল্লোল)
তারিখ :২৬ . ০৩. ২৫
সকল ঋতুর মাঝে ঋতু রাজ বসন্তই সেরা,
সজীবতায় উদ্দীপনায় প্রকৃতিতে সৌন্দর্যে ঘেরা।
মনমোহিনী প্রকৃতির রূপ সবুজের সমারোহ,
নবপত্রে নতুনরূপে নবপুষ্পে নতুন কুড়িতে অহরহ।
গোধূলির লালপ্রান্তের অবসানে নৈশকে করে আহ্বান,
দিনমনি লুকিয়ে যায় শশীমনির নবরূপে উত্থান।
নৈশকালীন রজতশুভ্র জ্যোৎস্নায় ভরে সৌদামিনীর মাঝে,
মৃদুমন্দ পবনে রোমাঞ্চিত হয় নর নারীর প্রানে।
চলমান পবনস্পর্শে হৃদয়ের দূয়ার চির উন্মুক্ত সর্বক্ষণ,
বসন্ত দূতের কুহূতান পূলকিত করে সবার মন।
মানবজাতি মাহেন্দ্রক্ষণে রোমাঞ্চ ও ভাবনাভূতিতে আছন্ন,
চন্দ্রের দ্যুতি ম্লানকরে নক্ষত্রের নব উত্থানে মগ্ন।
তটিনীর ঢেউগুলি উপছে পড়ে স্বীয়তটে জোয়ারে,
চন্দ্র সূর্যের আকর্ষনে বৈজ্ঞানিক গতিকে স্মরণে।
কলকল শব্দ বয়ে ভাটির স্রোতে ঐক্যতানে,
চার দেওয়ালে মনচায়না বন্দীর ন্যায় বন্ধনে।
প্রজাপতি পুষ্পরেণু সংগ্রহে ক্লান্ত অলিগন বিভ্রান্ত,
রাতের পাখি নাম জোনাকীর বেড়ে যায় রাজত্ব।
কবিমনের কাব্যগীতে সৃজন হয় রোমাঞ্চক্ষণে,
পেঁচা বাদুর উঁকিদেয় দুর থেকে বিটবীঅরণ্যে।
হাসনাহেনায় করে আকুল গোধূলির সাথে সাথে,
প্রেম ভালোবাসা দোলাদেয় প্রেমিক প্রেমিকার হৃদয় মাঝে।
ঋতু পরিক্রমায় অন্তলগ্নে বসন্ত মুকুটহীন মহারাজ,
সপ্তর্ষির সপ্তরঙ্গে নবগানে নবছন্দে নৈশকালে তার নবসাজ।