শিরোনাম : জামাই ষষ্ঠী সেরা
কলমে: রেবা ডাকুয়া মিস্ত্রী
তারিখ:০৪/০৬/২০২৫
বারো মাসের তেরো পার্বণ সনাতনীর রীতি
সংস্কারে আনে গভীরতা বাড়ায় স্বজন প্রীতি।
অশোক ষষ্ঠী দুর্গা ষষ্ঠী জামাই ষষ্ঠী সেরা,
মাতা ষষ্ঠীর পূজন করে শাশুড়ি মায়েরা।
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে পঞ্চ ফলের সাথে,
তালের পাখায় সাজিয়ে ব্যঞ্জন ডুব দেয় প্রভাতে।
পূজার শেষে বরদান মাগে জামাতা রেখো ভালো,
করিও আয়ুর বৃদ্ধি জ্বালি ও ভাগ্যের আলো।
যৎকিঞ্চিৎ লইয়া জল জামাতার মস্তকে দেয়,
মনেতে বলে মেয়েটি আমার সদা যেন সুখী রয়।
কুর্তা পাজামায় সাজিয়া জামাতা মিষ্টির হাড়ি লয়ে,
জ্যৈষ্ঠের ফলের মস্ত পাহাড় আনে কষ্টতে বয়ে।
জামাই মেয়ের আগমন দেখে মায়ের হাসি ফোটে,
পঞ্চ ব্যঞ্জনে ভরাবে মন রন্ধনে তাই ছোটে।
ফুলকো লুচি ছোলার ডাল হরেক রকম ফল,
পাবদা কারী তপসে ফ্রাই সঙ্গে ঠান্ডা জল ।
পাতুরি হবে ভেটকি মাছের মটন হবে কষা,
দেরাদুনের ভাত হবে আর স্যালাডেতে শশা।
বাসন্তী পোলাও হবে তার সঙ্গে ভাজি পাঁচ ,
আতিথিয়তায় জব্দ জামাই কপালেতে ভাঁজ ।
শেষ পাতেতে রসমালাই আর সন্দেশ গোটা চার,
আড় চোখে দেখে জামাই শাশুড়ির হাতে ভার।
আর খাব না শাশুড়ি মাতা এবারে মাফ করো,
যতনে বাছিয়া এনেছি শাড়ি সেটাই না হয় ধরো।