শিরোনাম কাঁঠাল চুরি
কবিতা কলমে রামকৃষ্ণ দাস
তারিখ ১১/৬/২০২৫
ধনা মনা দুইজনে ভাবে মনে মনে। সুমিষ্ট পাকা কাঠাল খাইতে স্বাদ পাইবো কেমনে। যুক্তি একটা আছে যদি কাঁঠাল পাকা করতে পারো। চুরি ধরা পড়লে কিন্তু খাবে বাসের বাড়ি। কোথায় পাব গাছে কাঁঠাল আগে আমায় বলো ।মারের চিন্তা পরে ভাবো এখন নিয়ে চলো। বাবুদের বাগানেতে অনেক আম-কাঁঠাল গাছ আছে ।তুমি যাবে আগেভাগে আমি থাকব পিছে ।বাবু থাকেন কলকাতায় বছরে একবার আসে।যা দেয় তাই নিয়ে চলে যায় পাওনা ভাগ চাষে। দুইজনে যুক্তি করি বাবুদের বাগানে ।গেল মনের মতো দুটি কাঠাল নিয়ে বাড়ি ফিরে এলো ।পরের দিন সকালে ভাগচাষীবাগানেতে গেল ।সবার সেরা কাঁঠাল দুটি কেবা হরণ করিল। কাঁঠালের সন্ধান না পাইয়া মোড়লের নিকটে গেল।সবিস্তারে সব কিছু বর্ণনা করিল ।মোড়ল বলে চাষা ভাই এত কেন ভাবো? যথাসাধ্য চেষ্টা করে চোর ধরে এনে দেব।
মোড়লের কথায় চাসা আশ্বস্ত হইল ।একদিন পরে কাঁঠাল চুরির সবার ডাকা হলো। কাঁঠাল চুরির কাহিনী কেবা জানে ভাল। গোপন না করিয়া কথা সত্য সত্য বলো ।সবাই সবার মুখ পানে চাই কিছু নাহি বলে ।চোখ পাকিয়েমোড়ল তখন সবার মাঝে চলে। ফিরে এসে বলে মোড়ল চোরকে আমি দেখেছিনিজের চোখে ।কাঁঠালের আঠা লেগে আছে তার মাথার চুলের ফাকে। যেমনি বলা চোর নিজের মাথায় হাত দিল। আঠা মোছার চেষ্টা করে দুটি হাত বাড়ালো ।ভাগচাষীএসে তার চেপে ধরে টুটি। বসে পড়ে চোর তখন ধরে চরণ দুটি।