রাখালের বাঁশি,
কারিমা খাঁন দুলারী।
নিশিথে জাগিয়া প্রিয়,রহিল মোর জন্য,
তার পিপাসিত পরশে এ জীবন হল ধন্য।
চাহিয়া দেখিয়া আঁখি ভাবিল দিবে ফাঁকি,
অগোচরে আনমনে বন্ধু, তাহার ছবি আঁকি।
রহিল পথ চেয়ে বন্ধু,আসিবে পথ বেয়ে,
মনটা হরণ করিল বন্ধু করুন সুরে গান গেয়ে।
দিবানিশি কেঁদে জ্বলিয়া মরে,এ কি প্রেম কাহিনী,
সংগোপনে অনুরাগে আমি হই তার অভিমানী।
হাতে লইয়া মরণ বাঁশি,বাজায় নিষ্ঠুর সুরে,
পাখিরা সব অধির হয়ে,ডাকে মোরে ঘিরে।
ভেসে আসে ঐ সুর আকাশে বাতাসে,
মোরে নির্জনে একাকি ভালোবেসে।
আমি উদাস মনে তাহাকে, আজও ভালোবাসি,
নির্জনে হৃদয়ের টানে,তাই তো ছুটে আসি।
পাগল পারা এ মন,হয় তাহার শুনিয়া ঐ বাঁশি,
সুরে সুরে ডাকে অধির হয়ে,তাই তো ভালোবাসি।
ঐ বাঁশির সুর বেদনা বিদুর,সহে না এ হৃদয়,
জীবনের প্রতিটা দিন হয় যেন মধুময়।
মাতোয়ারা হয়ে নদীর তীরে,থাকে মোর লাগি বসিয়া,
কখন যে সুরের মূর্ছনায়, ছুটে আসে মোর পিয়া।
ঐ লাল শাড়ি পড়া খোঁপায় গুঁজা ফুল,তার আলতা বরণ,
এক নজর চাহিয়া ,মোর হৃদয় করেছে হরণ।
হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ে,
আমি তাহার প্রেমে পড়ে,গিয়ে ছিলাম এগিয়ে।