মনে পড়ে সংগোপনে।
কারিমা খাঁন দুলারী
খুলনা জেলা ফুলতলা।
আমি আছি তো, তোমার হৃদয়ের আয়নায়।
সেখানে ছবিটা আগলে রেখেছো, কতো বায়নায়।
স্মরণীয় করে রেখেছো সব স্মৃতি গুলি।
এতো আবেগ অনুভূতি বলনা আমি কি করে ভুলি।
যদি জীবনে কভু দেখা না হয় আমার সাথে।
তুমি কি থাকো নির্ঘুম চাতক পাখির মতো রাতে।
মনের কামনা বাসনা পূর্ণতা বুঝি আছে।
তবুও মনে করো, আমি আছি তোমার কাছে।
ঐ জলছবি আঁকা বুকের পাটাতনে।
পাহাড়সম ভালোবাসা আজো আছে মনে।
আমি ও ভুলিনি, কখনো ভুলতে পারি না।
আমার হৃদয়ের ভাষা গুলো শুধু তুমি বুঝনা।
আচ্ছা ছবিটা কি ঘোলাটে,না উজ্জ্বল।
আমাকে মনে করো বুঝি, জীবনের সম্বল।
তুমি আমায় খুজতে হারিয়ে যাও ঐ প্রান্তরে।
কেনো যে নিরবধি জ্বলে আমার অন্তরে।
আমাকে ভেবে তুমি হও বুঝি দিশাহারা।
আনমনে হৃদয়ের স্পন্দনে পাই যে সারা।
আরে তুমি কাঁদো, আমার অগোচরে।
যতো ভালোবাসা আছে শুধু তোমাকে ঘিরে।
ঐ পাহাড়ি ঝর্নার মতো ঝরে বুঝি আঁখি।
আমি সেই আঁখির জ্যোতি দিয়ে দেখি।
আচ্ছা দুটি মন আছে বুঝি,বীণি সুতায় বাঁধা।
ক্ষত বিক্ষত এ হৃদয়ে পাও বুঝি ব্যথা।
জানো আমার ও হৃদয়ে ভাসে তোমার ছবি।
মনে হয় তুমি আমার ঐ আকাশের রবি।
মনে পড়ে কতো কথা, হয়েছে ফোনে।
কি সুধা ছরিয়ে দিতে, তোমার মধুর গানে।
আজো কি বাজে, হৃদয় বীণার বাঁশি।
আমি যখন হাসতাম, তুমি বলতে ভালোবাসি।
মনে পড়ে বলতে টানাটানা বাতায়ন চোখ।
এসব কথা মনে করে বুঝি, হৃদয়ে জাগে শোক।
আমাকে পাবে তুমি,ঐ গানের ভুবনে।
একটু না হয় মনে করিও সংগোপনে।
স্মৃতি সব মনে পড়লে, দাউদাউ করে বুক।
কোথাও কিছুতেই পাওনা বুঝি সুখ।
কষ্টরা ছবি নিয়ে, করে যায় আর্তনাদ।
তখন হৃদয়ের যন্ত্রণায়,বলো নেই স্বাদ।
নির্জনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে,করো আমায় স্বরণ।
আমি তো চাই, আমার হয় যেনো গো মরণ।