মধুময় প্রকৃতি,
কবি:কারিমা খাঁন দুলারী
খুলনা জেলা ফুলতলা।
মোর পল্লী গাঁয়ের প্রকৃতি,তোরা দেখবি যদি আয়,
এমন দৃশ্য কোথাও নেই, প্রকাশিত হয় পত্রিকায়।
সেই তো আগেরই মতো সবে আছে আনন্দে সুখে
একটু খালি পায়ে হেঁটে যা মাথা রেখে বৃক্ষের বুকে। বৃক্ষের ঐ ছায়া তলে আছে মায়ের স্নেহের মায়া
রাখাল ছেলে গাছের ডালে বাঁশি বাজায় বসিয়া ।
আয় না দেখে যা মোর গাঁয়ের অপরুপ চিত্র খান
মোর পল্লী গাঁয়ে কি সুন্দর খুব মধুর আয়োজন।
খই মুড়ী চিড়ে দই আছে তোকে করেছি নিমন্ত্রণ
বাড়ীর পাশে হাসনা হেনা সুভাসে ভরে যাবে মন।
পুর্নিমা রাতে জোসনা ছড়ায় ভরে যাবে দেখে প্রাণ
মাঝি ভাই বইঠা হাতে গেয়ে যায় ভাটিয়ালি গান।
গাঁয়ের মেঠো পথে হাটি মোরা জেগে ভোর বিহানে
সূর্য মামা আলো ছড়ায় ঐ নীল আকাশের গগণে।
কৃষকের মুখে দেখবি আনন্দ ভরা মধুর হাঁসি।
গোলা ভরা ধান ঘরে আঙিনায় পালা রাসি রাসি।
তীব্র গরমে পথচারী বসে দেখবি বৃক্ষের ছায়া তলে
বড় বড় রুই কাতলা ইংলিশ আছে নদীর জলে।
জানিস শিশিরে ভেজা পথে হাঁটতে লাগে ভারী মজা
মেহমান এলে আপ্পায়ন করি দেখিস সব কিছু তাজা।
কলসি কাঁখে জল ভরিতে আসে জানিস গাঁয়ের বউ
কলসি যায় জলে ভেসে সেথায় অতল স্রোতের ঢেউ
নদীর তীরে জাল ফেলে তাজা মাছ ধরে ঐ জেলে।
ছোট্ট বড় যতো মাছ উঠায় ভরে নিয়ে যায় থলে।
নৌকায় পাড় হয় লোকেরা এ পার থেকে ঐ পাড়ে
মাঝিরা সবে কুড়ে ঘর তুলে বসত করে বালুর চড়ে।
শাপলা ফোটা দীঘি আছে দেখবি মোর বাড়ীর পাশে
গাঁয়ের ছেলে মেয়ে সবে সেথায় সাঁতার কাটতে আসে।
সোনালী ধানে ভরা আছে মোদের সবুজ শ্যামল মাঠ
বাড়ীর আঙ্গিনায় পুকুর দেখবি শান বাঁধানো ঘাট।