ফুটবলের জাদু
কবি: টি আর রাব্বানী
তারিখ ০৪-০৭-২০২৫
রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী
সবুজ মাঠে নেমেছে দল, উচ্ছ্বাসে ভরা প্রাণ,
দুই চোখ জুড়ে স্বপ্ন বুনে, বিজয়ের আয়োজন।
বুটের ঠোকায় গর্জে ওঠে, চেনা সবুজ ঘাস,
সোনালী ট্রফির লোভে, ছুটছে সবাই আশ।
বাঁশির সুরে শুরু হলো, শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই,
বল ছুটে যায় ডান দিক বেয়ে, বাঁয়ে কেউ তাড়ায়।
ড্রিবলিংয়ের মোহে ভাসে, দর্শকেরা তাকিয়ে,
একটি পাসেই খেলা ঘুরে, যেন বাজি রেখে দিছে।
স্ট্রাইকারের চোখে আগুন, ডিফেন্ডার দেয় ঠেক,
একটি ভুলেই সব হারাবে, চাপে কাঁপে দেখ!
গোলপোস্টের সামনে গিয়ে, এক মুহূর্ত থমকে,
শটটা যদি ঠিকমতো যায়, বিজয় আসবে ঝমকে!
শট নিয়েছে! উড়ে গেলো, কিপার ছুঁতে পারল না,
নেটের ভেতর আছড়ে পড়ে, উল্লাস থামল না!
গ্যালারিতে তুমুল চিৎকার, পতাকা নাচে হাওয়ায়,
গোল দিয়ে যে নায়ক হলো, নামটা বাজে আওয়ায়।
কিন্তু খেলা এখনো বাকি, হার মানে না কেউ,
একটি গোলেই বদলে যাবে, কপাল কারও ঢেউ।
একজন ছুটছে বল নিয়ে, চোখে কেবল জিদ,
ডিফেন্স ভেঙে সামনে চলে, বুকের ভেতর বিদ।
বিপক্ষ দলের কৌশল কড়া, ফাউলের শঙ্কা আছে,
রেফারির বাঁশি বাজলো হঠাৎ, কার্ডটা হাতে নাচে।
পেনাল্টি কিক! জমে উঠেছে, দুই শিবিরই রুদ্ধ,
একটা বলেই সব ঠিক হবে, থেমে যাবে যুদ্ধ!
কিপার দাঁড়ায়, প্রস্তুত সেও, কিন্তু ভেতর দ্বিধা,
একটি মুহূর্ত, ব্যর্থ হলে, চিরকালিন কষ্টসাধা।
শট নেওয়া হলো! ঝাঁপ দিলো কিপার বাঁদিকে,
বলটা ছুঁয়ে জালে ঢুকল, শেষ হলো লড়াই টিকে।
গোলের পরেই উল্লাস হলো, মাঠটা নাচলো কেঁপে,
ফুটবলের এ জয়যাত্রা, হৃদয় রাখে মেপে।
জার্সি গায়ে স্বপ্ন দেখা, খেলার নেশায় মত্ত,
বুটের স্পর্শে ছুঁতে চায়, নতুন ইতিহাস জগত।
এভাবেই চলে ফুটবল খেলা, স্বপ্ন আর আবেগ,
কেউ হাসে, কেউ কাঁদে, কারও চোখে রঙ ঢেউ।
জিতবে যে, হারবে যে, ইতিহাস তাকে জানে,
ফুটবল মানে শুধু খেলা নয়, জীবনটাকে মানে।