দৈনিক কবিতা প্রকাশ
মাইলস্টোনের ত্যাগী শিক্ষক
মকবুল হোসেন
তারিখঃ ০১/০৮/২০২৫ ইং
সে দিনের তারিখটা ছিল একুশে জুলাই,
স্কুলে বিমান বিধস্ত হয় জানে সবাই।
মাইলস্টোন স্কুলে আগুন ধরে যায়,
জীবন বাঁচানোর জন্য ছাত্ররা করে হায় হায়।
ইতিমধ্যেই অনেকের জীবন গেল ঝরে,
শিক্ষকের চিন্তা জান বাঁচানো যায় কেমন করে?
একে একে মেহেরীন বিশজন উদ্ধার করেন,
কিন্তু খেয়াল নাই আগুনে সে নিজে মরেন।
আগুনে ছেলে-মেয়ে হয় কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
কিন্তু শিক্ষিক মেহেরীন নিজেকে রাখে দৃঢ়।
ছাত্র-ছাত্রী ছিল পুত্র-কন্যা সমতুল্য,
বাঁচাতে গিয়ে ভুলেছেন নিজ জীবনের মূল্য।
অন্য সবাই যখন জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত,
আর স্যার মেহেরীন উদ্ধারে সময় করেন ন্যস্ত।
এমন ত্যাগী শিক্ষক জীবনেও দেখি নাই,
জাতীয় বীর হিসাবে বেঁচে থাকবে জানি তাই।
বেঁচে যাওয়া শিশুরা চিরদিন করবে স্মরণ,
ইতিহাস ঘেঁটে দেখি নাই আমি এমন মরণ।
ভাসিয়ে দিলো সে নিজের ছেলে-মেয়ে সংসার,
তারা মাকে হারিযে কান্না করছে বারেবার।
বাংলাদেশে তৈরি করেন নয়া উদাহরণ,
জীবন ত্যাগী দেখে আনন্দ/দুঃখে কাঁদে মন।
পাঠ্যপুস্তকে বীরত্বের কাহিনি ছাপা হোক,
তাহলে আজীবন স্মরণ করতে পারবে লোক।
সরকারও দিতে পারে মরোনোত্তর পুরস্কার,
সরকারের ভাবমূর্তি বাড়বে,করবে না তিরস্কার।
নোবেল পুরস্কারের জন্যও চেষ্টা করা যায়,
কবিদের কাজ লেখা,বাস্তবায়ন সরকারের দায়।
রচনাকালঃ২৮/০৭/২০২৫ ইং
বালিয়াপুকুর,রাজশাহী
মাত্রাবৃত্তে ১৪ মাত্রা।