ছোট গল্প:রুই মাছ
কবি:হালিমা সুলতানা
তারিখ :-২৩-০১-২০২৪খ্রি:
পাশের বাড়ির এক ভাবী ছিলেন একটু বোকা প্রকৃতির । একদিন মুনছের ভাই বিল থেকে বড় একটা রুই মাছ ধরে নিয়ে আসলেন। মাছটা এনে ঐ ভাবীকে দিয়ে বললেন :- জুলেখা রুই মাছের মাথাটা কিন্তু আমারে দিবি।আলু বেগুন দিয়ে বিলের রুই মাছের ঝুল সেই মজা হবে রে।ভাবীও ভাই এর কথা মতো মাছটা সুন্দর করে কেটে ধুয়ে রান্না করতে বসলেন। ভাবী যখন পাতিলে তেল দিতে যাবেন তখন দেখেন তেলের বোতল কাছে নেই। বোকা ভাবী মাছ সবজি চুলোর পাশে রেখে ঘরে চলে গেলেন তেল আনতে।এদিকে চারটে বিড়াল মনের সুখে ভাবীর সব রুই মাছ খেয়ে শেষ করে ফেলছে।বিড়াল যখন মাছের শেষ অংশ খাচ্ছে তখন মুনছের ভাই ওখানে এসে দেখেন বিড়াল সবটুকু মাছ খেয়ে শেষ করে ফেলছে। তিনি কিছু না বলে ওখান থেকে বাজারে চলে গেলেন। এদিকে ভাবী এসে দেখেন মাছের বাটিতে এক টুকরো মাছও নেই। বোকা ভাবী মনে মনে অনেক ভয় পেলেন এবং কান্না করতে শুরু করলেন। অনেক চিন্তা ভাবনা করে শেষে ভাবী আলু বেগুন দিয়ে মাছের ঝুল রান্না করলেন। রাতে ভাই বাজার থেকে আসে হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসলেন। ভাবী যত্ন করে ভাই এর প্লেটে ভাত বেড়ে দিলেন। এরপর তরকারির পাতিল থেকে আলু বেগুনের ঝুল ভাইয়ের প্লেটে দিয়ে চামিচ দিয়ে তরকারির পাতিল নাড়তে লাগলেন। এদিক ভাই ভাত খেতে খেতে বললেন:- কি রে জুলেখা তরকারির পাতিলে এভাবে নাড়া শুরু করলি কেন?
ভাবী বললেন :- আপনার জন্য মাছের মাথা খুঁজি কিন্তু মাছের মাথা টা তো চামিচে উঠতে চাইছে না।মনে হয় তরকারিতে বেশি ঝুল হয়ে গেছে তাই রুই মাছের মাথা টা ঝুলের নিচে ডুবে গেছে । এটা শুনে ভাই বললেন :- দেখ আবার বেশি ঝুলের স্রোতে রুই মাছের মাথা টা পাতিলের তলা ভেঙে বিলে চলে গেছে নাকি ?
আসলেই পৃথিবীতে একটু চালাক না হলে টিকে থাকা খুবই কঠিন। হা হা হা মাছ ছাড়া তরকারির পাতিলে সারাদিন চামিচ দিয়ে খুঁজলেও কি আর মাছ পাওয়া যাবে ????