হিমের ঝুড়ি
মো. নজরুল ইসলাম
হিমের ঝুড়ি গায়ে দিয়ে
আসে শীতের বুড়ী,
চারিদিকে ঠাণ্ডা আবেশ
সূর্যের লুকোচুরি।
শীত দাপটে ছোটোবড়ো
সবাই থাকে ঘরে,
গরীব দুঃখী গৃহ হারা
পথে কেঁপে মরে।
দিন দুখীরা রাস্তায় রাস্তায়
কাঁপছে শীতের ত্রাসে,
শীতের বস্ত্র পোশাক দিয়ে
দাঁড়াই তাদের পাশে।
ধনী লোকে দালান কোঠায়
কাপড় পড়ে থাকে,
পথের লোকের দুঃখ গুলো
বারোমাস্যার বাঁকে।
দিন মজুরি শ্রমিক দলের
শীতের কাঁপন লাগে,
মানবতার আবাদ করতে
ভালো মানুষ জাগে।
কালের করাল থাবা দেখি
শীতের কালে আসে,
মৌসুমি শীত আমেজ নিয়ে
ঋতু ভিত্তিক হাসে।
কালের বিষম চাপে হাওয়া
গতির রঙে রাঙা,
শীতের কাঁপন বুড়া-বুড়ি
আগুন পোহায় চাঙা।
বিজয় কেতন
মো. নজরুল ইসলাম
১৭/১২/২০২৪ ইং
লাল সবুজের এই পতাকা
বাংলা মায়ের প্রতীক ভাই,
দীর্ঘ নয় মাস লড়াই শেষে
ডিসেম্বরে বিজয় পাই।
ডিসেম্বর মাস আসে যখন
তাঁদের স্মৃতি স্মরণ হয়,
বুকের তাজা রক্তে কেনা
শত্রু মুক্ত করে জয়।
সোনার বাংলা স্বাধীন হতে
তিরিশ লক্ষ ঝরে প্রাণ,
মা বোনেরা সম্ভ্রম হারায়
বীর বাংলার জয়ের গান।
বীর বাঙালি দেশের তরে
জীবন দিতে পায়নি ভয়,
তাঁদের স্মৃতি স্মরণ সবার
বাংলাদেশের বুকে রয়।
পাক হানাদার হতে বাংলা
একাত্তরের বিজয় বেশ,
ছত্রিশ জুলাই শহীদ গাজী’র
চব্বিশ সালের বাংলাদেশ।
ষোলো-ই ডিসেম্বর
মো. নজরুল ইসলাম
ডিসেম্বরের ষোলো তারিখ
স্বাধীনতা পাই,
দেশ বিজয়ের হাসি মুখে
খুশি মনে তাই।
আপন দেশে স্বাধীন ভাবে
চলার সুযোগ নাই,
সুখ ও শান্তির মানসম্মত
সন্ধান করে যাই।
বীর শহীদদের স্মরণ করি
আছেন আলেক সাঁই,
স্বাধীন দেশে গর্বের গলায়
বিজয়ের গান গাই।
শ্রদ্ধার সাথে বিজয় নিশান
দেশে পেলো ঠাঁই,
ভালোবেসে বিজয় উল্লাস
পালন করি ভাই।
এই কেতনে অই রতনের
রুজির উপর খাই,
সোনার বাংলা মাতৃভূমির
ইজ্জত সম্মান চাই।
বিবেকশূন্য মানুষ
মো. নজরুল ইসলাম
বিবেকশূন্য হাজার মানুষ
দেশ সমাজে পাই,
সারা জগৎ জুড়ে তাদের
ক্ষতির সীমা নাই।
বিবেক বুদ্ধি হারায় তারা
পাষাণ মনের হয়,
জীবন চলার পথে সঙ্গীর
প্রতি পদের ভয়।
বিবেক হীনা মানুষ গুলো
দুঃখ কষ্টে রয়,
নিজে ভালো সাজার জন্য
কাঁচা মিছা কয়।
অসৎ পথের পথিক ওরা
অর্থ বিত্তের লোভ,
অন্যের ভীষণ ক্ষতি করে
বাড়ায় মনের ক্ষোভ।
বিচার বিহীন পথে চলন
সুখের আশা খুব,
আত্মবাদী স্বার্থের লোভী
লালসায় মারে ডুব।
দ্বীন ইসলামের পথে
মো. নজরুল ইসলাম
মুসলমান আজ দ্বীনের পথে
বিভেদ যুক্ত মন,
কোরআন হাদিস ছেড়ে দিয়ে
আধাআধি ক্ষণ।
ঈমান আমল নামার হিসাব
মুসলিম জাতি এক,
ধার্মিক কর্মীর প্রকৃত রূপ
জাতির জীবন ফ্যাক্।
নীতি বিহীন মুসলিম জাতির
রুহু তালের কাজ,
ইসলাম ধর্মের মানুষ জনের
বহিঃশক্তির সাজ।
পিতা-মাতার সেবায় জীবন
বাড়ায় দেয় না হাত,
নামাজ, রোজা, ইবাদতের
অলস অবোধ জাত
রীতির আলোক শিখা জানায়
ডুববে তরী হায়!
রবের গজব নীতির লড়াই
প্রভাব দেখা যায়।
পাখি
মো. নজরুল ইসলাম
বাঁশের ঝাড়ে পাখির মেলা
হরেক রকম পাখি,
শালিক পেঁচা বুলবুলি বক
দেখে জুড়ায় আঁখি।
পাখি ডাকে কিচিরমিচির
কোকিল কুহু সুরে,
বাঁশের ঝাড়ে আনন্দ আজ
খুশির জোয়ার ভোরে।
শীতের কালে অতিথি হয়
পাখি মোদের দেশে,
দোয়েল কোয়েল ময়না টিয়া
আনন্দে সব মেশে,
গাছের ডালে ঝোপের ঝাড়ে
নানান পাখি থাকে,
কাক চিল চড়ুই পাখিরা সব
নগর গায়ের বাঁকে।
মেল বন্ধন
মো. নজরুল ইসলাম
মনের আবেগ ছন্দের তালে
কবি লিখে ডাকেন,
বই পত্র আর নেট জগতে
প্রচার করে থাকেন।
কাব্য ছড়ায় মনের কথা
ফুটিয়ে দেন তিনি,
ইন্টারনেট আর মিডিয়ায়
প্রচার করায় চিনি।
লাইক কমেন্টের মেলবন্ধন
লেখক পাঠক করেন,
মনো মতন কাব্য গাঁথায়
সাহিত্যের হাত ধরেন।
নিজের মতো স্বপ্ন জাগায়
লেখক পাঠক জানে,
একে অপর ভাষার জন্য
ভিন্ন রকম মানে।
আমরা সবাই ফেসবুকেতে
লাইক কমেন্ট করি,
বাস্তব মুখী কবিতা পড়ে
নিজের জীবন গড়ি।
সমাপ্ত