হাওয়াই মিঠাই
মো. নজরুল ইসলাম
চিনির সাথে রঙ মিশিয়ে
গরম ছাঁচে দেয়,
সুকৌশলে কারিগরের
তৈরি করে নেয়।
হাওয়াই মিঠাই সাথে নিয়ে
হকার করতে যায়,
মধুর সুরে হাঁক ডাক পাড়ে
হাওয়াই মিঠাই চায়।
শহর,নগর,গাঁয়ের সকাল
খোকা খুকুর দল,
হাওয়াই মিঠাই কিনে নিতে
করে নানান ছল।
ফেলে দেওয়া কৌটা বোতল
মায়ের মাথার চুল,
নগদ টাকা পয়সায় মিলে
কিনতে হয়না ভুল।
শিশু উদ্যান , সাগর পাড়ে
বেড়ানোর সব স্থান,
ছোটো ছেলে মেয়ের দলে
তাহা কিনে খান।
হাওয়াই মিঠাই খেতে মজা
খেয়ে খুশি খুব,
মিষ্টির পাগল শিশু কিশোর
স্বাদে দিলো ডুব।
——————
গতিবিধির কথা
মো. নজরুল ইসলাম
মানবিক জ্ঞান গরিমা আজ
গতিবিধি হাতের,
কালের করাল গ্রাসে জীবন
পরিবর্তন জাতের।
শক্তির দাপট দেখায় ভালো
নষ্টের বিলাস বুকে,
হিংসা বিদ্বেষ ধ্বংসের তাড়া
জীবন খানি ঝুঁকে।
ধোঁকার আশ্রয় নিয়ে ধর্মের
কাম্য বর্জিত বয়ান,
বেকুব সকল মাথা নাড়ায়
যতটা সম্ভব শয়ান।
ঠুনকো কভু জ্বলজ্যান্ত
মানুষটাকে হারায়,
হাজার রকম মানে করে
কথার দামে বাড়ায়।
একটু ভেবে ধৈর্যের সহিত
অপেক্ষাতে কাটুক,
দুষ্ট চক্রের আয়োজন সব
হঠাৎ করে চাটুক।
ঋতুর রাণী শরৎ
মো. নজরুল ইসলাম
২৬/০৯/২০২৪ ইং
শরৎ কালের রূপের শোভা
বলবো কতো আর,
রাতে ঝরে শিউলি ফুল
সুমিষ্ট ঘ্রাণ তার।
শিশির ঝরা ভোরের বেলা
ঘাসের ডগার রয়,
সূর্যের আলো পড়ে তাহা
নোলক মনে হয়।
নদীর কূলে কাশের বনে
ফুটে কাশের ফুল,
সেই ফুল নিয়ে ছেলে মেয়ে
খেলতে হয়না ভুল।
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
নীল আকাশের মেঘ,
হিমেল পরশ বুলায় দেহে
চলতে মিলে বেগ।
নদী নালায় খালে বিলে
শাপলা ফুটে খুব,
দুপুর বেলা রোদের তাপে
পুকুরে দেয় ডুব।
প্রতিবেশী
মো. নজরুল ইসলাম
আমার বাড়ির চারিপাশে
যারা বসত করে,
তারা আমার প্রতিবেশী
চলি হতটা ধরে।
প্রতিবেশীর সাথে আমরা
চলাফেরা করি,
ভালো মন্দের একে অপর
হাত বাড়িয়ে ধরি।
প্রতিদিন হয় দেখা সাক্ষাৎ
খোঁজ খবরে জানা,
সুখে দুঃখে প্রত্যেক ক্ষেত্রে
করছি লেনা-দেনা।
আপন জনের চেয়ে আপন
প্রতিবেশী আমার,
হাজারো কাজ দায়িত্ব সব
ধ্বংসের করি সাবার।
প্রতিবেশীর দায় দায়িত্বে
দায়িত্বশীল হবো,
সুখে দুঃখে একই সাথে
বাস করিয়া যাবো।
আপ্তবাক্য
মো. নজরুল ইসলাম
আপ্তবাক্য রপ্ত করে
জন্ম যাহার ভবে,
পরাণ পাখি যাবে উড়ে
খাঁচা পড়ে রবে।
মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে
মাটির গর্ভে যাবে,
আমল নামা সঙ্গী হবে
দেহ মাটি খাবে।
কর্ম তুমি করো সুন্দর
মানুষ ভালো বলবে,
মরার পরে কর্ম গুণের
আমল দিয়ে চলবে।