নারীর জীবন
কবি:পত্রলেখা ঘোষ
নারীর জীবন বড় বিচিত্র বিস্ময় প্রতি বাঁকে,
নদীর মতো সে সদা বয়ে যায় রহস্য ঘিরে থাকে।
বাবার কাছে সে অতি আদরের নয়নের মণি তাঁর –
যখনি যা চায় তাই দিয়ে দেন নেই হিসাবের ভার।
মা তাকে শেখান পড়াশোনা আর সমাজের যত রীতি,
মাতা জীবনের সেরা শিক্ষক শেখান ন্যায় ও নীতি।
পাত্রের হাতে তাকে তুলে দিতে পিতার কাঁপে যে বুক-
আপন কলিজা যেন ছিঁড়ে দেন মন জুড়ে তাঁর দুখ।
ঘাত প্রতিঘাতে শুরু হলো তার সংসার পথে চলা,
পাহাড়ী ঝর্ণা তখন শান্ত মেপে তার কথা বলা।
দুটি মন যদি একপথে চলে সংসার হয় সোজা –
মতবিরোধের কাঁটার আঘাতে জীবনে বাড়ে যে বোঝা।
ক্রমে সংসারে সন্তান আসে আনন্দে ভরে বুক,
মাতা তৎপর শিশুর লালনে হারিয়ে আপন সুখ।
কৃতি সন্তান মায়ের গর্ব কষ্ট সফল তাঁর –
সন্তান সুখে গর্বিতা মাতা ভোলেন মনের ভার।
ব্যস্ততা এসে কেড়ে নিয়ে যায় প্রিয় সন্তানটিকে,
কর্মজীবনে প্রবল পিষ্ঠ মা’র স্মৃতি আজ ফিকে।
বহু সন্তান দূর দেশে থাকে ফোন দিতে ভুলে যায়-
সংবাদ তরে মাতা যে ব্যাকুল প্রতীক্ষা করে ঠায়।
জীবনের শেষে সঙ্গী তখন শুধু বুড়ো আর বুড়ি,
জীবন গড়তে জানে না কখন সময় গিয়েছে চুরি।
দুজনেই আজ পরম একলা সঙ্গী শুধু দুজন-
নারীর জীবনে হঠাৎ কখন আসে বিদায়ের ক্ষণ।
কেউ বলে নাকো নারীদের গুণ তারা শুধু করে যায়,
কথার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত তবু গন্ধ বিলায়।
তাঁর কৃতিত্বে মহীরুহ হয় ক্ষুদ্র মানব চারা,
সংসার তরে জীবন বিলিয়ে পৃথিবী ছাড়েন তাঁরা।
কবিতা আমার
পত্রলেখা ঘোষ
কবিতা আমার বুক ভরা শ্বাস
মুখ ভরা হাসিখানি,
নিত্য দিনের জটিলতা মাঝে
শান্তির হাতছানি।
কবিতা মানে তো দীপ্ত শপথ
কারোকে করিনা ভয়-
অন্যায় দেখে করি প্রতিবাদ
কবিতা বন্ধু হয়।
কবিতার মাঝে চির প্রশান্তি
প্রাণের আরাম জানি,
এর মাঝে আমি খুঁজে খুঁজে ফিরি
মহামানবের বাণী।
কবিতার মাঝে ভালোবাসা গড়ি
কবিতায় কাঁদি হাসি-
কবিতাই জেনো চির সহচর
কভু বলবে না আসি।
কবিতা তোমার মধুর পরশে
হৃদে দিয়ে যাও দোলা,
সুখেতে দুখেতে তুমি সঙ্গিনী
যায় না তোমায় ভোলা।
কবিতা আমায় ভাসায় যে রোজ
দূর থেকে বহু দূরে-
বাঁচার প্রেরণা খুঁজে ফিরি আমি
কবিতার মধু সুরে।
কবিতা তুমি তো প্রিয়তমা সাথী
ভালোবাসা একরাশ,
সুখে ও দুঃখে প্রেমে ও বিরহে
পাশে থেকো বারোমাস।