কবিতা -কৃষকের মুখে হাঁসি,
কবি -কারিমা খাঁন দুলারী
খুলনা জেলা ফুলতলা।
ভোর বিহানে দল বেঁধে মোরা মাঠে ছুটে আসি
সোনার ফসল ফলাই মোরা এই বাংলার চাষী।
ঐ পাকা ধানের ঘ্রাণে হৃদয় হয় মোর কৌতুহল
মন পবনের তরী বেয়ে ঐ পাড়ে যাবি তোরা চল।
ধানের বস্তা ঘাড়ে করে নিয়ে বেঁচে তাঁরা হাঁটে
নতুন চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করে গাঁয়ে পিঠে।
চাষী ভাই তীব্র গরমে চাষ করে ঐ গাঁয়ের মাঠে
মাজায় গামছা বেঁধে কৃষক জোয়াল কাঁধে খাটে।
ভরেছে বাড়ী ধানের গোলা চাষীর মুখে মধুর হাঁসি
মোর বাংলার এই দৃশ্য মোরা কত ভালোবাসি।
ও গো মোর সোনার রুপসী বাংলাদেশ প্রিয় তুমি
সবার কাছে এই বাংলা প্রাণের চেয়ে ও দ্বামী।
সোনার ফসল দুলছে ঐ হিমেল হাওয়ার পরশে
মোর মায়ের কোলে থাকি মোরা প্রাণের হরষে।
আমি আঁকড়ে ধরি মায়ের আঁচল যাব না গাঁ ছেড়ে
এই গাঁয়ে কত আনন্দ হাঁসি আছে জীবন মোর ঘিড়ে।
এই বাংলার সোনার মাটি মোর প্রাণের চেয়ে খাঁটি
শিশিরে ভেজা ঘাসে মোরা খালি পায়ে সবে হাঁটি।
এই বাংলা মোর জীবন মরন প্রিয় মাতৃভূমি
এমন সোনার দেশটি খুঁজে কোথাও পাবে না তুমি।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা তার রুপের নেই শেষ
এ তো মায়ের জন্মভূমি মোর স্বাধীন বাংলাদেশ।
মোর দেশের কৃষান কৃষানী জাগে ভোর বিহানে
লাঙল লইয়া চাষ করে ঐ মেঠো পথের ময়দানে।
সোনালী ধানে মাঠ ভরা আমি দেখি নয়ন ভরে
শান্তিতে বসত করি মাথা রেখে মোরা সুখে নীড়ে।