কবিতাঃ-
শিরোনামঃ- মেজর জিয়া
কবি- কবির আহমদ
রচনা কালঃ- ১৯/০১/২০১২ খ্রি.
বগুড়া জেলার একটি গ্রাম বাগবাড়ি তার নাম,
জন্মিলেন এক মহান শিশু জিয়াউর রহমান ।
১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি সুন্দর এক সকাল,
জন্মের পরে পিতার আদরে নাম হলো তার “কমল”।
তাহার আগমনে পাখি করে গান ফুলেতে সৌরভ,
প্রকৃতিরা হেসে উঠে বলে, শিশুটি বঙ্গভূমির গৌরব ।
চার বছর বয়সে তার পিতা চলে গেলেন কলকাতায়,
শিক্ষা জীবন শুরু হলো সার্কাস পার্কের পাঠশালায় ।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পড়লো ব্রিটিশ রাজা বেকাদায়,
জাপানি বোমার আতঙ্কে চলে এলেন বগুড়ায় ।
মহাযুদ্ধ চলাকালে বাগবাড়ি গ্রামের স্কুলে,
গৌরবের ওই শিশু কমল কিছুকাল শিক্ষা নিলে ।
মহাযুদ্ধ শেষে কর্মস্থলে পিতার কাছে এসে,
হেয়ার স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়লো সপ্তম ক্লাসে ।
১৯৪৭ এর বিভক্তিতে পিতা গেলেন করাচিতে,
একাডেমিতে মেট্রিক পাস করলো তিনি বায়ান্নতে ।
১৯৫৩ সালে জিয়া পাক সেনাতে যুক্ত হলো,
১৯৬৫ তে পাক ভারত যুদ্ধে বীরত্বে মুগ্ধ করলো ।
১৯৭১ সালে বাঙালি জাগে স্বাধীনতার দাবিতে,
পাক সেনারা গণহত্যা চালায় অপারেশন সার্চলাইটে ।
মুজিব হলো অন্তরীন, নিয়ে গেল জেলখানায়,
বাঙালিরা দিশা পেলো জিয়া তোমার ঘোষণায় ।
পাক বাহিনীর হত্যা লীলা ২৫ শে মার্চ কাল রাতে,
খবর শুনে জিয়া তুমি রুখিয়ে দিলে সাথে সাথে ।
কালুঘাটের বেতারে দিলে স্বাধীনতার ঘোষণা,
জীবন দিয়ে বাঙালি করে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ।
উচ্চারিলে বীর দর্পে, “আমি মেজর জিয়া বলছি,
আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি”।
একটি ঘোষণাতে জাতি পথ খুঁজে পেলো,
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বিজয় এনেছিলো ।
৩০শে মে ১৯৮১তে বিপথগামী সেনার হাতে,
চট্টগ্রামে টার্কিট হাউসে শহীদ হলেন গভীর রাতে ।
জাতি হারায় সঠিক নেতা, কাঁদে শুধু মানবতা,
বাঙালি আর বিশ্ববাসী ভুলিবেনা জিয়ার কথা ।
যতদিন লাল সবুজ পতাকা থাকবে উদিয়মান,
ততদিন বাংলার পথে প্রান্তরে মানুষের অন্তরে রবে,
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ।