ঈদের চাঁদের রাত,
কবি:মমতাজ মনী শেলী
যখন অনেক ছোট ছিলাম ঈদের চাঁদের রাতে,
আসতোনা ঘুম উত্তেজনায় দু’টি আঁখিপাতে।
কখন যে হবে ভোর,
চুপিচুপি জানালা খুলে দেখতাম আঁধারের ঘোর।
সূর্য মামা জাগেনা কেনো কতো যে ঘুমান সে,
কাটেনা যেনো রাতটা আমার ভাবি বসে বসে।
জামা-জুতো দুল-মালা যে বারে বারে ছুঁই,
মা যেনো না দেখে ফেলে ঘুমের বেশে রই।
সেই কবে থেকে লুকিয়ে রেখেছি নতুন জামা খানি,
বন্ধুরা যদি দেখে ফেলে সবাই করবে কানাকানি।
সময় আসে প্রতিক্ষার প্রহর গোনা হয় শেষ,
কানে বাজে মিষ্টি মধুর আযান ধ্বনির রেশ,
চোখে খুশির ঝলক নিয়ে সেই না কাক ভোরে,
গোসল সেরে সেজে গুজে সালামি নেয়ার তরে
মুরুব্বিদের সালাম করে টাকায় ভরি মূঠো,
তখন টাকা দিতো সবে পাঁচ টাকা এক দুটো।
বাড়ী বাড়ী ঘোরা ফেরা আর সেমাই পোলাও খাওয়া,,
সারাটি দিন হৈ হুল্লোর আর আনন্দে ডুবে যাওয়া
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সেই না খুশির ঢেউ,
সে দিনের মত শিশুরা যেনো খুশি হয়না আর কেউ।
এখন ছোটদের ঈদের তরে জামা জুতোর ছড়াছড়ি,
প্রতি মাসেই ঈদের খুশি নানান দিবসের বাড়াবাড়ি।
চাঁদের রাতে সপিং সেরে ঘুমায় গভীর রাতে,
কুম্ভকর্ণের ঘুম যেনো আর জাগেনা প্রভাতে।