আমাদের রসুলপুর
-কবি--মোঃ ওমর আলী সাগর
কুমার পাড়ের রসুলপুরে আস যদি সবে
মন ভোলানো কত যে রূপ দেখতে পাবে তবে,
নন্দনে তার কতই বাহার জুড়ায় মন আর প্রাণ
ভাটিয়ালী ভাওয়াইয়াতে পাবে মাটির ঘ্রান।
পাট পেঁয়াজ আর রসুন ভরা রসুলপুরের বাজারে
শনিবার আর মঙ্গলবারে আসে যে লোক হাজারে,
কুমার নদের তীর ঘেঁষে রোজ ভীড় করে সব বণিকগণ ব্যাকুল মনে তৃপ্ত হবে থাক যদি ক্ষণিক ক্ষণ।
শৈশবেতে যেতাম হাটে ডিঙ্গি নায়ে পাল তুলে
স্রোতের তোড়ে কূমের মাঝে যেতাম কভু পথ ভুলে,
শষ্য শ্যামল রসুলপুরের নেইতো রূপের শেষ কভু
নৌকা বাইচের এমন আমোদ লাগবে বেজায় বেশ তবু।
মন কেঁড়ে নেয় সারি সারি দোকান পসার দুই কূলে
মাঝ নদীতে সুরের তালে মাঝিরা যায় পাল তুলে,
রোজ বিকেলে বটের ছায়ায় খরিদ্দারের ঢল নামে
শৈশবের সেই স্মৃতির কথা যত্নে আছে নীল খামে।
আঁখ খেঁজুরের পাঁটালী গুড় কিংবা বিলের শিং আর কৈ
সব পাওয়া যায় রসুলপুরে শাপলা শালুক ঢ্যাঁপের খৈ,
নদীর ধারে কিশোর যুবা ঘুড়ির সুতোয় হাত ধরে
সাদা মেঘে ভাসত ঘুড়ি দেখত সবে মন ভরে।
মাছরাঙারা আমোদ করে কুমার নদের কূল ঘেঁষে
ময়না টিয়াও কুলায় ফিরে সাঁঝবেলাতে দিন শেষে,
চারদিকে তার নজরকাঁড়া আছে যে রূপ সুমধুর
ছবির মতো পটে আঁকা আমার প্রাণের রসুলপুর।